কোরআন থেকে উত্তর
কোরআনে ‘অধিকাংশ ব্যক্তি’ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে:
১। অধিকাংশই বিশ্বাস করে না। আল বাক্বারাহ ২/১০০
২। মানুষের মধ্যে অধিকাংশই নাফরমান। আল মায়েদা ৫/৪৯
৩। তাদের অধিকাংশেরই বিবেক বুদ্ধি নেই। মায়েদাহ ৫/১০৩
৪। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না। আল আনআম ৬/৩৭
৫। কিন্তু তাদের অধিকাংশই মুর্খ। আল আনআম ৬/১১১
৭। আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না। আল আ’রাফ ৭/১৭
৮। আর তাদের অধিকাংশ লোককেই আমি প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নকারীরূপে পাইনি; বরং তাদের অধিকাংশকে পেয়েছি হুকুম অমান্যকারী । আল আ’রাফ ৭/১০২
৯। অধিকাংশই জানে না। আল আ’রাফ ৭/১৩১
১০। কিন্তু তাদের অধিকাংশই সে বিষয়ে অবহিত নয়। আল আনফাল ৮/৩৪
১১। তাদের অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারী। আত তাওবাহ ৯/৮
১২। তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। ইউনুস ১০/৩৬
১৩। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না। ইউসুফ, ১২/২১
১৪। অধিকাংশ মানুষ প্রকৃত ব্যাপার সম্পর্কে অবগত নয়। ইউসুফ, ১২/৬৮
১৫। আপনি যতই চান না কেন, অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। ইউসুফ, ১২/১০৩
১৬। অধিকাংশ মানুষ আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে। ইউসুফ, ১২/১০৬
১৭। অধিকাংশ মানুষ এতে বিশ্বাস করে না। রাদ, ১৩/১
১৮। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ চিনে, এরপর অস্বীকার করে এবং তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ। নাহল, ১৬/৮৩
১৯। তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না। নাহল, ১৬/১০১
২০। কিন্তু অধিকাংশ লোক অস্বীকার না করে থাকেনি। বনী ইসরাঈল, ১৭/৮৯
২১। বরং তাদের অধিকাংশই সত্য জানে না; অতএব তারা টালবাহানা করে। আম্বিয়া, ২১/২৪
২২। তাদের অধিকাংশ সত্যকে অপছন্দ করে। আল মুমিনূন, ২৩/৭০
২৩। আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত। আল ফুরকান, ২৫/৪৪
২৪। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। সূরা আশ শো’আরা, ২৬/৮
২৫। তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী। আশ শো’আরা, ২৬/২২৩
২৬। তাদের অধিকাংশই জানে না। নমল, ২৭/৬১
২৭। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না। আল কাসাস, ২৮/৫৭
২৮। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না। আল আনকাবুত, ২৯/৬৩
২৯। তাদের অধিকাংশই জ্ঞান রাখে না। আর রূম, ৩০/৬
৩০। তাদের অধিকাংশই জ্ঞান রাখে না। লোকমান, ৩১/২৫
৩২। তাদের অধিকাংশের জন্যে শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না। ইয়াসীন, ৩৬/৭
৩৩। তাদের পূর্বেও অগ্রবর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল। আস সাফফাত, ৩৭/৭১
৩৬। অতঃপর তাদের অধিকাংশই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তারা শুনে না। সূরা হামীম সেজদাহ, ৪১/৪
৩৭। আমি তোমাদের কাছে সত্যধর্ম পৌঁছিয়েছি; কিন্তু তোমাদের অধিকাংশই সত্যধর্মে নিস্পৃহ! যুখরুফ, ৪৩/৭৮
৩৯। আপনি বলুন, আল্লাহই তোমাদেরকে জীবন দান করেন, অতঃপর মৃত্যু দেন, অতঃপর তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্রিত করবেন, যাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না। আল জাসিয়া, ৪৫/২৬
৪০। অধিকাংশই অবুঝ। আল হুজরাত ৪৯/৪
সুতরাং
আপনি কি মনে করেন তাদের অধিকাংশ শুনে অথবা বুঝে? তারা চতুষ্পদ জন্তুর মতো বরং আরো পথভ্রান্ত। ফুরকান ২৫/৪৪
অধিকাংশই জানেনা ৩৪/২৮,৩৬
তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ। আল আ’রাফ ৫/১৭৯
বস্তুত তারা অধিকাংশই অনুমানের উপর চলে। ১০/৩৬
তারা আল্লাহর আয়াতকে বানচাল করার চেস্টা করে। সাবা ৩৪/৫
তারা আল্লাহর আয়াত নিয়ে বিতর্ক করে। ৪০/৩৫,৫৬
অধিকাংশ আল্লাহকে বিশ্বাস করে কিন্তু সাথে শিরিকও করে। ইউসুফ ১২/১০৬
সুতরাং অধিকাংশের কথা মতো চলো তা হলে তারা তুমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে ফেলবে। আনআম ১১৬
এরাই তারা যারা কুরআনকে প্রলাপ সাব্যস্ত করেছে। ফুরকান ২৫/৩০
হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর, মাথা মুছেহ কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদেরকে পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান-যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ কর। ৫/৬
সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। ২/২৩৮
হে ঈমাণদারগণ! তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক, তখন নামাযের ধারে-কাছেও যেওনা, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ, আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে, কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল। ৪/৪৩
বলুনঃ আল্লাহ বলে আহবান কর কিংবা রহমান বলে, যে নামেই আহবান কর না কেন, সব সুন্দর নাম তাঁরই। আপনি নিজের নামায আদায়কালে স্বর উচ্চগ্রাসে নিয়ে গিয়ে পড়বেন না এবং নিঃশব্দেও পড়বেন না। এতদুভয়ের মধ্যমপন্থা অবলম্বন করুন। ১৭/১১০
ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। ২/৪৫, ২/১৫৩
আর নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্মশীল, তারা সৃষ্টির সেরা। এরা মহান প্রতিপালকের কাছ থেকে পাবে তাদের সৎকর্মের পুরস্কার স্থায়ী জান্নাত, যার পাদদেশে থাকবে প্রবহমান ঝর্নাধারা, তারা সেখানে থাকবে চিরকাল। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ। (রাদ্বিআল্লাহু আনহুম ওয়া রাদু আনহু)
এই পরিতৃপ্তি তো তাদের জন্যে, যারা আল্লাহ-সচেতন ও আল্লাহর (বিরাগভাজন হওয়াকে) ভয় করে।
– সূরা বাইয়েনাহ, ৯৮:৮
যারা তওবা করে ও পবিত্র থাকে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালবাসেন। – ২:২২২
হে নবী! বলো, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাসো, তবে আমাকে অনুসরণ করো। আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরমদয়ালু। –৩:৩১
নিশ্চয়ই যে ওয়াদা পালন করে এবং আল্লাহ-সচেতনতার পথে চলে, আল্লাহ তাকে ভালবাসেন। – ৩:৭৬
নিশ্চয়ই যে ওয়াদা পালন করে এবং আল্লাহ-সচেতনতার পথে চলে, আল্লাহ তাকে ভালবাসেন। – ৩:৭৭
আল্লাহ অবশ্যই ধৈর্যশীল সংগ্রামীদের ভালবাসেন। – ৩:১৪৬
নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন। – ৩:১৪৮
আল্লাহ তাঁর ওপর ভরসাকারীদের ভালবাসেন। – ৩:১৫৯
নিশ্চয়ই আল্লাহ সদাচারীদের ভালবাসেন। – ৫:১৩
নিশ্চয়ই আল্লাহ-সচেতন মানুষকেই আল্লাহ পছন্দ করেন। – ৯:৩
নিশ্চয়ই আল্লাহ-সচেতন মানুষকে আল্লাহ ভালবাসেন। – ৯:৭
মনে রেখো, আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন। – ৪৯.৯
আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালবাসেন। – ৬০:৮
যারা সারিবদ্ধভাবে সুদৃঢ় প্রাচীরের মতো একাত্ম হয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করে, আল্লাহ তাদের ভালবাসেন। – ৬১:৪
এটি এক চলমান প্রশ্নোত্তর। কুরআনে আরো অনেক যায়গায় আল্লাহপাক কুরআন কেন নাযিল করেছেন তা এসেছে। এই প্রশ্নের উত্তর ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ করা হবে।
সর্বশেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
আমি কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর দ্বারা আল্লাহ সচেতনদের সুসংবাদ দেন এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন। – সুরা মারিয়াম, ১৯:৯৭
ইউবাসসিরা (সুসংবাদ প্রদান) এবং তুনযিরা (সতর্ক করা)
এ কুরআন তো সমগ্র মানবজাতির জন্য উপদেশ। ৬৮:৫২
আমি এই কিতাব তোমার উপর নাযিল করেছি, যাতে করে যারা মতভেদ করছে, তাদের সকল প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব তুমি দিতে পারো। আর বিশ্বাসীদের জন্য এই কিতাব হচ্ছে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা ও রহমত। – সুরা আন-নহল, ১৬:৬৪
আল্লাহ সচেতনদের জন্য এই কুরআন নি:সন্দেহে এক উপদেশনামা। – ৬৯:৪৮
অবশ্যই কোরআন সকলের জন্যে এক উপদেশবাণী। ৫৫. অতএব যার ইচ্ছা সে এ থেকে উপদেশ গ্রহণ করুক। ৫৬. কিন্তু (যারা পরকালে বিশ্বাস করে না) তারা এ উপদেশ গ্রহণ করবে না, যদি না আল্লাহ বিশেষ রহমত করেন। আল্লাহ-সচেতনদের প্রভু তিনিই, ক্ষমা করার একমাত্র মালিকও তিনি। – সুরা মুদাসসির ৭৪:৫৪-৫৬
আমি তোমার ভাষায় কোরআনকে খুব সহজ করে দিয়েছি, যাতে মানুষ সচেতন হতে পারে/ যাতে তারা নিজেদের মনে করিয়ে দিতে পারে। – সুরা দোখান ৪৪:৫৮
নিশ্চই এ এক উপদেশ। অতএব যার ইচ্ছা সে তার প্রতিপালকের পথ অবলম্বন করুক। –৭৩:১৯
এ বাণী হচ্ছে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সত্যের দিক-নির্দেশিকা, যারা সরলপথে চলতে চায়। ৮১:২৬
নিশ্চই কুরআন আল্লাহর বাণী, সত্য মিথ্যার মীমাংসাকারী, এটি কোন কল্পকাহিনী বা বিনোদনের বিষয় নয়। ৮৬:১৩-১৪
এই কিতাব তোমার প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমার ওপর নাজিলকৃত সত্য, যাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারো, যাদের কাছে তোমার পূর্বে অন্য কোনো সতর্ককারী আসে নি। এর দ্বারা তারা হয়তো সত্যপথের সন্ধান পাবে! – ৩২:৩
হে নবী! আমি তোমার ওপর এই কল্যাণময় কিতাব নাজিল করেছি, যাতে মানুষ এই কুরআনের বাণী নিয়ে গভীরভাবে ধ্যানে নিমগ্ন হয়! ও এর শিক্ষা অনুসরণ করে। –৩৮:২৯
রসুলদের মাধ্যমে নাযিল করেছি কিতাব এবং মানদন্ড যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। –৫৭:২৫
এই কুরআন আমার উপর নাযিল হয়েছে, যাতে করে আমি তোমাদেরকে ও যাদের কাছে ভবিষ্যতে এ বাণী পৌছবে তাদের প্রত্যেককে সত্য সম্পর্কে জানাতে পারি। – ৬:১৯
জ্ঞান অন্বেষণকারীদের জন্যই আমি এত সুস্পষ্টভাবে সত্যের বয়ান করছি। – ৬:৯৮
যারা উপদেশ গ্রহন করতে প্রস্তুত, তাদের জন্যে আমি আমার বাণী বিশদভাবে বয়ান করছি। – ৬:১২৬
আমি কোরআনকে সুস্পষ্ট বাণীর আকারে নাজিল করেছি। এভাবেই আল্লাহ মানুষকে পথের দিশা দেন (যে পথ পেতে চায়)। -২২:১৬
হে নবী! জ্ঞানপ্রাপ্তরা ভালোভাবেই জানে যে, তোমার ওপর তোমার প্রতিপালকের কাছ থেকে যা নাজিল হয়েছে, তা-ই সত্য এবং তা মানুষকে মহাপরাক্রমশালী সদাপ্রশংসিত আল্লাহর পথ প্রদর্শন করে। – ৩৪:৬
নিশ্চয়ই এই কোরআনে আমি আমার বাণীকে নানাভাবে বার বার উপস্থাপন করেছি, যাতে করে ওরা এর সত্যতা অনুধাবনের চেষ্টা করে। কিন্তু হায়! কার্যত (সত্য অস্বীকারকারীরা) সত্য থেকে নিজেদের আরো দূরে নিয়ে গেছে। –১৭:৪১
এটি এক চলমান প্রশ্নোত্তর। কুরআনে আরো অনেক যায়গায় আল্লাহপাক কুরআন কেন নাযিল করেছেন তা এসেছে। এই প্রশ্নের উত্তর ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ করা হবে।
সর্বশেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
তুমি কখনো এমন কাউকে অনুসরণ কোরো না : (এক) যে কথায় কথায় শপথ করে, (দুই) যে সম্মানহীন, (তিন) যে পেছনে নিন্দা করে, (চার) যে একের কথা অন্যের কাছে লাগায়, (পাঁচ) যে ভালো কাজে বাধা দেয়, (ছয়) যে অত্যাচারী, (সাত) যে পাপাচারী, (আট) যে বদমেজাজী, (নয়) যে অজ্ঞাতকুলশীল। ধনেজনে শক্তিমান বলেই ওকে অনুসরণ কোরো না। ৬৮:১০-১৫
কখনো মূর্খদের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না। ১০:৮৯
যারা কবিদের অনুসরণ করে তারা বিভ্রান্ত হয়। তোমরা কি দেখ না, ওরা লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ায়? আর তারা যা বলে, তা তারা অনুসরণ করে না। ২৬:২২৪-২২৬
কিছু মানুষ অজ্ঞতাবশত আল্লাহ সম্পর্কে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হয় এবং প্রতিটি উদ্ধত শয়তানি শক্তির অনুসরণ করে। অথচ বিধিলিপি হচ্ছে, যে শয়তানি শক্তির অনুগমন করবে, শয়তান তাকে পথভ্রষ্ট করে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। ২২:৩-৪
আর আমাকে স্মরণ করার ব্যাপারে যাদের হৃদয়কে আমি অমনোযোগী দেখছি, যারা তাদের খেয়ালখুশির অনুসরণ করে সত্য ও ন্যায়ের সীমা লঙ্ঘন করে, তুমি কখনো তাদের কথা শুনো না। ১৮:২৮
…আল্লাহ যা পছন্দ করেন তা ওরা অপছন্দ করেছে, আর যে কাজগুলো করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন, সে কাজে ওরা লিপ্ত থেকেছে। আল্লাহ তাই ওদের সকল কর্ম নিষ্ফল করে দেবেন। -৪৭:২৭-২৮
যারা সত্য অস্বীকার করে ও মানুষকে আল্লাহর পথ অনুসরণে বাধা দেয় এবং সত্যবাণী ও পথের দিশা জানার পরও যারা রসুলের বিরোধিতা করে, তারা আল্লাহর কোনো ক্ষতিই করতে পারবে না। বরং তিনি ওদের সকল কর্ম নিষ্ফল করে দেবেন। অতএব হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, রসুলের আনুগত্য করো এবং তোমাদের কর্ম নিষ্ফল হতে দিও না। -৪৭: ৩২-৩৩
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের। ৫/৪৪
যারা আল্লাহ ও তার রসূলের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপনকারী তদুপরি আল্লাহ ও রসূলের প্রতি বিশ্বাসে তারতম্য করতে চায় আর বলে যে, আমরা কতককে বিশ্বাস করি কিন্তু কতককে প্রত্যাখ্যান করি এবং এরই মধ্যবর্তী কোন পথ অবলম্বন করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে এরাই সত্য প্রত্যাখ্যাকারী। ৪/১৫০-১৫১
যখন তাদের কাছে আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ আবৃত্তি করা হয়, তখন তুমি কাফেরদের চোখে মুখে অসন্তোষের লক্ষণ প্রত্যক্ষ করতে পারবে। যারা তাদের কাছে আমার আয়াত সমূহ পাঠ করে, তারা তাদের প্রতি মার মুখো হয়ে উঠে। ২২/৭২
এভাবেই আমি আপনার প্রতি কিতাব অবর্তীণ করেছি। অতঃপর যাদের কে আমি কিতাব দিয়েছিলাম, তারা একে মেনে চলে এবং এদেরও (মক্কাবাসীদেরও) কেউ কেউ এতে বিশ্বাস রাখে। কেবল কাফেররাই আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করে। ২৯/৪৭
হে মানুষ! আল্লাহ তোমাদের পৃথিবীতে তাঁর খলিফা বা প্রতিনিধি মনোনীত করেছেন। তোমাদের অনেককে (চরিত্র, জ্ঞান, শক্তি, ক্ষমতা, অর্থবিত্ত বা মর্যাদায়) অনেকের ওপর উচ্চ আসনে আসীন করেছেন। তোমাদের যাকে যা দিয়েছেন, সে আলোকেই তিনি তোমাদের পরীক্ষা নেবেন। তোমার প্রতিপালক যেমন কঠিন শাস্তি দেন তেমনি তিনি ক্ষমা ও করুণার আকর। – ৬:১৬৫
ফুরকান (সত্য মিথ্যার মানদন্ড)। ফুরকান ২৫:১
এরপরও কোরআনকে অনুধাবন করার জন্যে ওরা কি গভীর ধ্যানে নিমগ্ন হবে না? কোরআন যদি আল্লাহর কালাম ছাড়া অন্য কিছু হতো তাহলে অবশ্যই এর মধ্যে অনেক অসঙ্গতি থাকত। ৪:৮২
আমি কোরআন নাজিল করেছি। কোরআন বিশ্বাসীদের জন্যে নিরাময় ও রহমত আর জালেমদের ধ্বংসের পথ প্রশস্তকারক। ১৭:৮২
কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। আল বাক্বারা ২:১৮৫
এই কোরআন আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষে রচনা করা সম্ভব নয়। এই কিতাব ইতঃপূর্বে নাজিলকৃত সকল ওহীর সত্যায়নকারী এবং সকল সত্য বিধিবিধানের বিশদ ব্যাখ্যা। নিঃসন্দেহে এই কিতাব বিশ্বজাহানের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ। ১০:৩৭
হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে তোমাদের ওপর নাজিল হয়েছে উপদেশবাণী। বিশ্বাসীদের জন্যে এতে রয়েছে অন্তরের সকল বিভ্রান্তি ও ব্যাধির নিরাময়, সরলপথের নির্দেশনা ও রহমত। বলো, ‘আল্লাহর এই অনুগ্রহ ও রহমতের জন্যে তোমরা সবাই আনন্দ প্রকাশ করো। তোমাদের পুঞ্জীভূত ধনসম্পত্তির চেয়ে এ অনেক শ্রেয়।’ ১০:৫৭-৫৮
যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, তারা আপনার পালনকর্তার নিকট থেকে অবর্তীর্ণ কোরআনকে সত্য জ্ঞান করে এবং এটা মানুষকে পরাক্রমশালী, প্রশংসার্হ আল্লাহর পথ প্রদর্শন করে। সাবা ৩৪:৬
আমি এই কোরআনে মানুষের জন্যে সব ধরনের দৃষ্টান্ত পেশ করেছি, যাতে মানুষ এ থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে। আরবি ভাষার এই কোরআন বক্রতামুক্ত (অর্থাৎ অস্পষ্টতা, বৈপরীত্য ও জটিলতামুক্ত) যাতে মানুষ আল্লাহ-সচেতন হতে পারে। ৩৯:২৭-২৮
হা-মিম। সাক্ষী ধ্রুবসত্য প্রকাশক এই কিতাব। আমি এই কোরআন নাজিল করেছি আরবি ভাষায়, যাতে তোমরা সহজাত বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করে যথার্থ জ্ঞানলাভ করতে পারো। নিশ্চয়ই মহাপ্রজ্ঞাময় কোরআন রয়েছে আমার কাছে, সকল কিতাবের উৎস সুরক্ষিত ফলকে—লাওহে মাহফুজে। ৪৩:১-৪
আমি এই কোরআন নাজিল করেছি এক মোবারক রাতে। ৪৪:৩
তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? ৪৭:২৪
নিশ্চয়ই ইহা (কুরআন) তোমার এবং তোমার সম্প্রদায়ের জন্য উপদেশ, তোমাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। – সুরা যুখরুফ, ৪৩:৪৪
এই কুরআন মানব জাতির জন্য সুস্পষ্ট দলীল এবং নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথনির্দেশ ও রাহমাত। ৪৫:২০
এ কোরআন তো সমগ্র মানবজাতির জন্যে উপদেশ! ৬৮:৫২
আল্লাহ-সচেতনদের জন্যে এই কোরআন নিঃসন্দেহে এক উপদেশনামা। আমি জানি, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ একে অমান্য করবে। অবশ্যই এই প্রত্যাখ্যান সত্য অস্বীকারকারীদের জন্যে গভীর দুঃখ বয়ে আনবে। কারণ এ কোরআন চূড়ান্ত সত্য। অতএব হে নবী! তুমি তোমার প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। ৬৯: ৪৮-৫২
অবশ্যই কোরআন সকলের জন্যে এক উপদেশবাণী। অতএব যার ইচ্ছা সে এ থেকে উপদেশ গ্রহণ করুক। ৭৪:৫৪-৫৫
এ বাণী হচ্ছে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সত্যের দিক-নির্দেশিকা, যারা সরলপথে চলতে চায়। ৮১:২৭
নিশ্চয়ই কোরআন আল্লাহর বাণী—সত্য-মিথ্যার মীমাংসাকারী, এটি কোনো কল্পকাহিনী বা বিনোদনের বিষয় নয়। ৮৬:১৩-১৪
নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি কদরের রাতে। ৯৭:১
এটি এক চলমান প্রশ্নোত্তর। কুরআনে আরো অনেক যায়গায় কুরআন কেন নাযিল করেছেন আল্লাহপাক তা এসেছে। এই প্রশ্নের উত্তর ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ করা হবে।
https://alquran.org.bd/search/results/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A6%86%E0%A6%A8
পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে সত্য অস্বীকারকারীদের কাউকে কাউকে পার্থিব জীবনের জৌলুস বাড়ানোর জন্যে যে বিলাস-উপকরণ দিয়েছি, তার দিকে কখনো তাকিও না। তোমার প্রতিপালকের দেয়া হালাল জীবনোপকরণই স্থায়ী ও বরকতময়। ২০:১৩১
আমি সত্য অস্বীকারকারীদের কতককে যে ভোগ্যপণ্য ও বিলাস-উপকরণ দিয়েছি, সেদিকে কখনো তাকিও না। আর ওরা বিশ্বাসী না হওয়ার কারণেও দুঃখ কোরো না। বরং বিশ্বাসীদের ওপর তোমার মমতার ডানা মেলে দাও। ১৫:৮৮
তুমি কি সে লোকের কথা ভাবনি যে এমন এক জনপদ দিয়ে যাচ্ছিল যার বাড়ীঘরগুলো ভেঙ্গে ছাদের উপর পড়ে ছিল? বলল, কেমন করে আল্লাহ মরনের পর একে জীবিত করবেন? অতঃপর আল্লাহ তাকে মৃত অবস্থায় রাখলেন একশ বছর। তারপর তাকে উঠালেন।
বললেন, কত কাল এভাবে ছিলে? বলল আমি ছিলাম, একদিন কংবা একদিনের কিছু কম সময়। বললেন, তা নয়; বরং তুমি তো একশ বছর ছিলে। এবার চেয়ে দেখ নিজের খাবার ও পানীয়ের দিকে-সেগুলো পচে যায় নি এবং দেখ নিজের গাধাটির দিকে। আর আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে চেয়েছি। আর হাড়গুলোর দিকে চেয়ে দেখ যে, আমি এগুলোকে কেমন করে জুড়ে দেই এবং সেগুলোর উপর মাংসের আবরণ পরিয়ে দেই। অতঃপর যখন তার উপর এ অবস্থা প্রকাশিত হল, তখন বলে উঠল-আমি জানি, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল। ২/২৫৯
তারা (আল্লাহর সম্মানিত বান্দা) শুধু তাদের জন্যে সুপারিশ করে, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত। সুরা আম্বিয়া ২১/২৮
দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না। ২০:১০৯
কেউ সুপারিশ করতে পাবে না তবে তাঁর অনুমতি ছাড়া ইনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। সুরা ইউনুস ১০/৩
তারা শুধু তাদের জন্যে সুপারিশ করে, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত। ২১:২৮
বলুন, সমস্ত সুপারিশ আল্লাহরই ক্ষমতাধীন, আসমান ও যমীনে তাঁরই সাম্রাজ্য। অতঃপর তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত। ৩৯:৪৪
আকাশে অনেক ফেরেশতা রয়েছে। তাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসূ হয় না যতক্ষণ আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা ও যাকে পছন্দ করেন, অনুমতি না দেন। ৫৩, ২৬
মন্তব্য: কেবলমাত্র আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে বান্দা সুপারিশ করতে পারবে।
নিজে যাচাই করার জন্য : কুরআনে সুপারিশ সম্পর্কে আয়াত সমূহের সার্চ করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
https://quran.com/search?q=%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6
জেনে রাখো, প্রত্যেকের মর্যাদা নির্ধারিত হবে তার কর্ম অনুসারে। আর আল্লাহ তোমাদের প্রত্যেকের কাজ সম্পর্কে অনবহিত নন। – সুরা আনআম ৬:১৩২
(হে মানুষ! জেনে রাখো) কর্ম অনুযায়ীই নির্ধারিত হবে প্রত্যেকের মর্যাদা। কারণ আল্লাহ (কোনোরকম ভেদাভেদ না করে) প্রত্যেককেই তার (ভালো বা মন্দ প্রতিটি) কাজের পূর্ণ প্রতিফল প্রদান করবেন। কারো প্রতিই কোনো অবিচার করা হবে না। – সুরা আহকাফ ৪৬:১৯
তিঁনিই (স্রষ্টা) তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি করেছেন। সুরা ফাতির ৩৫, ৩৯
হুয়াল্লাযি জাআলাকুম খালাইফা ফিল আরদ
তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টিবর্ষণ করেন বার বার, পরিমিতভাবে। আর তা দিয়ে নিষ্প্রাণ রুক্ষ জমিনকে সজীব করে তোলেন। এমনিভাবেই তোমাদেরকে একদিন পুনরুত্থিত করা হবে। ৪৩:১১
তিনিই নিষ্প্রাণ থেকে প্রাণের উন্মেষ ঘটান আবার প্রাণকে করেন নিষ্প্রাণ। ধূসর জমিনকে তিনিই সজীব করে তোলেন। এমনিভাবে তোমাদেরও মৃত অবস্থা থেকে পুনরুত্থিত করা হবে। ৩০:১৯
তিনি তোমাদের সবাইকে মাটি থেকে ক্রমান্বয়ে বিকশিত করেছেন আবার মাটিতেই ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। তারপর তিনি মাটি থেকে তোমাদের পুনরুত্থিত করবেন। ৭১:১৭-১৮
মহাবিচার অবশ্যম্ভাবী, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আর কবরে যারা আছে, আল্লাহ তাদেরকে পুনরুত্থিত করবেন।২২:৭
সত্য অস্বীকারকারীরা রসুলদের বলল, তোমাদেরকে আমাদের বাপদাদার ধর্মে ফিরে আসতে হবে, নইলে আমরা তোমাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেবো। এরপর তাদের প্রতিপালক রসুলদের কাছে ওহী পাঠালেন, এ জালেমদের আমি অবশ্যই বিনাশ করব। ওরা চলে যাওয়ার পর (দীর্ঘ সময়) তোমরা পৃথিবীকে আবাদ করবে। যারা আমার কাছে জবাবদিহির ব্যাপারে শঙ্কিত, যারা আমার সতর্কবাণী সম্পর্কে সচেতন থাকে, তাদের প্রত্যেকের জন্যেই এটি আমার প্রতিশ্রুতি। সুরা ইব্রাহিম ১৪:১৩-১৪
২২. সবকিছুর ফয়সালা হওয়ার পর শয়তান বলবে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তো সত্য হবেই। আমিও তোমাদের নানাধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম কিন্তু তা ছিল নিছক প্রতারণা। তোমাদের ওপর তো আমার কোনো কর্তৃত্ব ছিল না। আমি তো শুধু কুবুদ্ধি দিয়েছিলাম আর তোমরা তাতে সাড়া দিয়েছিলে। সুতরাং এখন আমাকে দোষ দিও না, নিজেকেই নিজে তিরস্কৃত করো (কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, সংস্কার ও ফ্যান্টাসিতে আসক্ত হয়ে পাপাচারে লিপ্ত থাকার জন্যে)। – ১৪:২২
অতএব কখনো মনে কোরো না যে, আল্লাহ তাঁর রসুলদের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, কঠোর দণ্ডবিধায়ক। – ১৪:৪৭
(হে মানুষ! সেদিনের কথা ভাবো) যেদিন মহাকাশকে লিখিত কাগজের পাতার ন্যায় ভাঁজ করে গুটানো হবে। আর যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। ওয়াদা পালন করা আমার দায়িত্ব আর আমি ওয়াদা পালন করবই। – ২১: ১০৪
সত্য ও ন্যায়ের স্বার্থেই তোমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে। তাঁর প্রতিশ্রুতি পাল্টানোর ক্ষমতা কারো নেই। নিশ্চয়ই তিনি সব শোনেন, সব জানেন। – ৬:১১৫
আল্লাহ (বিজয়ের) প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহ কখনো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা বোঝে না। ওরা পার্থিব জীবনের দৃশ্যমান বিষয়েই শুধু জানে। কিন্তু চূড়ান্ত নিগূঢ় সত্য সম্পর্কে ওদের কোনো জ্ঞানই নেই। – ৩০:-৬-৭
তবে যারা আল্লাহ-সচেতন, তাদের জন্যে সাজানো রয়েছে থরে থরে প্রাসাদ, যার পাদদেশে থাকবে প্রবহমান ঝর্নাধারা। এ আল্লাহর প্রতিশ্রুতি। আর আল্লাহ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না। – ৩৯:২০
(পুনরুত্থান সম্পর্কে) তোমাদের যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তা অবশ্যম্ভাবী। তোমরা কেউ একে ফাঁকি দিতে পারবে না। – ৬:১৩৪
(হে নবী! জেনে রাখো, ক্রমাগত সত্য অস্বীকারকারীদের) তুমি যতই সত্যপথ প্রদর্শনে আগ্রহী হও না কেন, আল্লাহ যাদের পথভ্রষ্ট বলে সাব্যস্ত করেছেন, তাদের কখনোই তিনি সৎপথে পরিচালিত করবেন না। (মহাবিচার দিবসে) ওদের সাহায্য করারও কেউ থাকবে না। ওরা দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর শপথ করে বলে যে, ‘আল্লাহ কোনো মৃতকে পুনর্জীবিত করবেন না।’ কেন করবেন না? (মৃতকে পুনর্জীবিত করার প্রতিশ্রুতিই তো তিনি দিয়েছেন। আর) তাঁর এই প্রতিশ্রুতি তিনি পূরণ করবেনই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা বোঝে না। যখন তিনি ওদের পুনর্জীবিত করবেন, তখন (ধর্মের) যে যে বিষয়ে তারা দ্বিমত করছিল, সে বিষয়গুলো তাদের সামনে স্পষ্ট হবে এবং সত্য অস্বীকারকারীরা তখন জানতে পারবে যে, তারা বাস্তবিকই মিথ্যায় নিমজ্জিত ছিল। – সুরা নহল ১৬:৩৬-৩৯
আল্লাহর ওয়াদা সত্য! তোমাদের সবাইকে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে। মনে রেখো, তিনিই (মানুষকে) প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন। তিনি আবার তাকে সৃজন করবেন, যাতে করে বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীলদের যথাযোগ্য পুরস্কার দিতে পারেন। আর যারা সত্য অস্বীকারে অনড় থাকবে, তাদের জন্যে অপেক্ষা করবে ফুটন্ত আঠালো পানীয় আর যন্ত্রণাদায়ক আজাব। -১০:৪
আমি এদের (বিশ্বাসে অটল, পিতামাতার সাথে সৎকর্মশীল, সৎকর্মশীল, কৃতজ্ঞ, স্রষ্টার সন্তুষ্ট করার মতো সৎকর্ম, তওবা ও সমর্পনকারী) সৎকর্মগুলো কবুল করি এবং মন্দ কাজগুলোকে ক্ষমা করে দেই। আমার প্রতিশ্রুতি অনুসারেই এরা হবে জান্নাতের অধিকারী। – ৪৬:১৬
হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহর পথে সাহায্য করলে আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করবেন। ৪৭:৭
৮-৯. আর যারা বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীল তাদের জন্যে রয়েছে নেয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাত। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অনুসারে সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। – সুরা লুকমান ৩১:৮-৯
যারা বিশ্বাস স্থাপন ও সৎকর্ম করবে, আল্লাহ তাদেরকেও ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা করেছেন। -৪৮:২৯
(হে নবী! সত্য অস্বীকারকারীদের) জিজ্ঞেস করো, ‘পরিণতি হিসেবে এটা উত্তম, না স্থায়ী জান্নাত উত্তম, যার প্রতিশ্রুতি আল্লাহ-সচেতনদের দেয়া হয়েছে? জান্নাতই তাদের পুরস্কার, মহাযাত্রার গন্তব্যস্থল। সেখানে থাকবে তারা চিরকাল, যা চাইবে তা-ই পাবে। এ প্রতিশ্রুতি পূরণ করার দায়িত্ব তোমার প্রতিপালকের।’ – সুরা ফোরকান ২৫: ১৫-১৬
আর যারা বিশ্বাস করবে ও সৎকর্ম করবে, তারা দাখিল হবে জান্নাতে, যার পাদদেশে থাকবে প্রবহমান ঝর্নাধারা। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল। এটা আল্লাহর ওয়াদা। আর আল্লাহর চেয়ে বেশি সত্যবাদী কে হতে পারে? – ৪:১২২
নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বাসীদের জান ও মাল জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন। তাই তারা নির্দ্বিধায় আল্লাহর পথে সর্বাত্মক সংগ্রাম করে, কখনো শত্রু নিধন করে, কখনো শহিদ হয়। তাওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে এই বিশ্বাসীদের জন্যে তিনি সুস্পষ্টভাবে জান্নাতের ওয়াদা করেছেন। আল্লাহর চেয়ে শ্রেষ্ঠ ওয়াদাপালনকারী আর কে হতে পারে? অতএব (হে বিশ্বাসীরা!) আল্লাহর সাথে যে লেনদেন করেছ (বায়াত হয়েছ) সেজন্যে আনন্দে উদ্বেলিত হও। নিঃসন্দেহে এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য। – ৯:১১১
শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় আর বখিল বা কৃপণ হতে উৎসাহ জোগায়। অপরদিকে আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। – ২:২৬৮
(এদের মধ্যে) যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের মর্যাদা কখনো ক্ষুণ্ন করা হবে না। এই স্থায়ী জান্নাতের প্রতিশ্রুতিই দয়াময় তাঁর বান্দাদের দিয়েছেন, যা মানবীয় বুদ্ধির অগম্য এক বাস্তবতা। আর দয়াময়ের প্রতিশ্রুতি পূরণ হবেই। ১৯:৬০-৬১
সেদিন জান্নাত দৃশ্যমান করা হবে আল্লাহ-সচেতনদের কাছে। (বলা হবে) তোমাদের প্রত্যেকে—যারা আল্লাহ-অনুরাগী ছিলে, সবসময় সত্য-সচেতন ছিলে, যারা না দেখেও দয়াময় আল্লাহর সামনে শঙ্কিত ও বিনম্রভাবে উপস্থিত হতে, তাদের এ জান্নাতেরই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। – ৫০:৩১-৩৩
স্মরণ করো! ইব্রাহিমকে তাঁর প্রতিপালক কিছু বিষয়ে পরীক্ষা নিয়েছিলেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আল্লাহ বললেন, ‘আমি তোমাকে মানবজাতির নেতা মনোনীত করেছি।’ সে বলল, ‘আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও কি নেতা হবে?’ আল্লাহ বললেন, ‘আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।’ – ২:১২৪
(হে নবী!) ওরা তোমাকে আল্লাহর শাস্তি ত্বরান্বিত করার জন্যে চ্যালেঞ্জ দেয়। আল্লাহ কখনোই তাঁর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না। মনে রেখো, তোমার প্রতিপালকের কাছে একদিন—তোমাদের গণনার হাজার বছরের সমান। সীমালঙ্ঘন করার পর (অনুশোচনা করার জন্যে) বহু জনপদকে আমি সুযোগ দিয়েছিলাম। তারপর তাদেরকে শাস্তি দিয়েছি। (মনে রেখো) তোমাদের সবাইকে শেষ পর্যন্ত আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। – ২২:৪৭-৪৮
যখন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, তখন মানুষ দলে দলে কবর থেকে উঠে প্রতিপালকের দিকে ছুটতে থাকবে। ভীতশঙ্কিতভাবে ওরা বলবে, ‘হায়রে! দুর্ভোগ আমাদের! কে আমাদের মরণঘুম থেকে উঠাল (পুনরুত্থিত করল)?’ তখন ওদের বলা হবে, দয়াময় আল্লাহ তো এই দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আর রসুলরা সত্য কথাই বলেছিল। – ৩৬:৫১-৫২
(বিশ্বাসী ও সৎকর্মশীলদের জন্যে) আমি আগে থেকেই কল্যাণ নির্ধারিত করে রেখেছি। তাদের জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে। তারা এ আর্তনাদের ক্ষীণতম শব্দও শুনবে না। তারা সেখানে তাদের মনপসন্দ সবকিছু চিরকাল উপভোগ করবে। মহাবিচারের সমাবেশ ময়দানের বিভীষিকায় বিশ্বাসীরা কখনো বিচলিত হবে না। ফেরেশতারা তাদের স্বাগত জানিয়ে বলবে, ‘আজ তোমাদের সেই শুভদিন, যার প্রতিশ্রুতি তোমাদের দেয়া হয়েছিল।’ – ২১:১০১-১০৩
আল্লাহ তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—তোমরা যুদ্ধে বিজয় ও বিপুল সম্পদের অধিকারী হবে। তিনি তোমাদের বিজয় ত্বরান্বিত করবেন। তিনি শত্রুর হাত থেকে তোমাদের রক্ষা করেছেন, যাতে অনাগত বিশ্বাসীদের জন্যে এটি হয় এক উজ্জ্বল নিদর্শন। আল্লাহ সবসময়ই তোমাদের সাফল্যের সরলপথে পরিচালিত করেন। – ৪৮:২০
(হে মানুষ! সেদিনের কথা ভাবো) যেদিন মহাকাশকে লিখিত কাগজের পাতার ন্যায় ভাঁজ করে গুটানো হবে। আর যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। ওয়াদা পালন করা আমার দায়িত্ব আর আমি ওয়াদা পালন করবই। আমি আসমানি কিতাবসমূহে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি যে, আমার সৎকর্মশীল যোগ্য বান্দারাই শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবে। এতে আল্লাহর ইবাদতকারী জনগোষ্ঠীর জন্যে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। – সুরা আম্বিয়া ২১:১০৫-১০৬
কুরআনে আল্লাহ মানুষের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কখনো দিয়েছেন রাসুলদের জন্য এবং কখনো দিয়েছেন বিশ্বাসীদের জন্য।
আল্লাহর বাণী সুস্পষ্টভাবে পৌছে দেয়াই রাসুলদের কাজ। ২৯:১৮
তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলুল্লাহর আনুগত্য কর। যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে আমার রসূলের দায়িত্ব কেবল খোলাখুলি পৌছে দেয়া। – সুরা তাগাবুন, ৬৪/১২
বস্তুতঃ আমি একমাত্র এই উদ্দেশ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি, যাতে আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী তাঁদের আদেশ-নিষেধ মান্য করা হয়। – সুরা নিসা ৪/৬৪
হে মানুষ! তোমাদেরকে কি আমি জানাব, শয়তান কাদের ওপর সওয়ার হয়? শয়তান সওয়ার হয় ঘোর মিথ্যাবাদী ও দুরাচারীদের ওপর আর যারা কানকথা শোনো ও কানকথা ছড়ায়। ওদের অধিকাংশই মিথ্যাচারী। সুরা শু’আরা, ২৬:২২১-২২৩
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী। শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে। ৪৩:৩৬,৩৭
নিশ্চই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। শয়তান তোমাদের সবসময়ই অন্যায় ও অশ্লীলতায় প্রলুদ্ধ করবে এবং তোমার সঠিকভাবে জানো না, আল্লাহ সম্পর্কে এমন সব কথা বলতে প্ররোচিত করবে। – সুরা বাকারা, ২:১৬৮-১৬৯
যার প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। শয়তান বললঃ আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব। তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে আশ্বাস দেব; তাদেরকে পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়। সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদেরকে আশ্বাস দেয়। শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা সব প্রতারণা বৈ নয়। – ৪:১১৭-১২১
সে (শয়তান) বললঃ দেখুন তো, এনা সে ব্যক্তি, যাকে আপনি আমার চাইতেও উচ্চ মার্যাদা দিয়ে দিয়েছেন। যদি আপনি আমাকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত সময় দেন, তবে আমি সামান্য সংখ্যক ছাড়া তার বংশধরদেরকে সমূলে নষ্ট করে দেব। আল্লাহ বলেনঃ চলে যা, অতঃপর তাদের মধ্য থেকে যে তোর অনুগামী হবে, জাহান্নামই হবে তাদের সবার শাস্তি-ভরপুর শাস্তি। তুই সত্যচ্যুত করে তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস স্বীয় আওয়ায দ্বারা, স্বীয় অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনী নিয়ে তাদেরকে আক্রমণ কর, তাদের অর্থ-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে শরীক হয়ে যা এবং তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দে। ছলনা ছাড়া শয়তান তাদেরকে কোন প্রতিশ্রুতি দেয় না। আমার বান্দাদের উপর তোর কোন ক্ষমতা নেই আপনার পালনকর্তা যথেষ্ট কার্যনির্বাহী। – ১৭:৬২-৬৫
মানুষের যে কর্মফল জনিত অজর্ন তার মাধ্যমেই শয়তান তাদের পদস্খলন ঘটিয়েছিলো … –৩:১৫৫
(দুরাচারীরা শয়তানের বন্ধু) আর শয়তানই তোমাদেরকে তার বন্ধুদের (তার আওলিয়াদের) ভয় দেখায়। তাই ওদের কখনোই ভয় কোরো না। সবসময় আল্লাহর (বিরাগভাজন হওয়াকে) ভয় করো। তাহলেই সত্যিকার বিশ্বাসী থাকতে পারবে। – ৩:১৭৫
সত্যিকার বিশ্বাসী তারাই,
যারা আমার বাণী শোনামাত্র সেজদায় লুটিয়ে পড়ে (অর্থাৎ বিনা-দ্বিধায় মেনে নেয়);
অহংকারমুক্ত হয়ে তাদের প্রতিপালকের মহিমাকীর্তন করে। (বিনয়ী ইবাদতকারী হয়)
তারা (রাতে) শয্যাত্যাগ করে তাদের প্রতিপালককে ডাকে শঙ্কাজড়িত প্রত্যাশায়। (গভীর রাতের ধ্যানমগ্ন ইবাদতকারী হয়)
আর প্রাপ্ত রিজিক থেকে তারা অন্যের জন্যে ব্যয় করে (দান করে)।
এই বিশ্বাসীদের সৎকর্মের জন্যে (পরকালে) কী চোখ জুড়ানো পুরস্কার গোপনে রাখা আছে, কোনো মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয় তা কল্পনা করা! ৩২:১৫-১৭
যারা মনের কার্পন্য থেকে মুক্ত, তারাই সফলকাম। ৬৪/১৬
সেদিন অর্থাৎ, সমাবেশের দিন আল্লাহ তোমাদেরকে সমবেত করবেন। এ দিন হার-জিতের দিন। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তার পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। যার তলদেশে নির্ঝরিনীসমূহ প্রবাহিত হবে, তারা তথায় চিরকাল বসবাস করবে। এটাই মহাসাফল্য। ৬৪/৯
নিশ্চয় সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয় এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর সালাত করে (স্রষ্টার বিধান মান্য করে, স্রষ্টার ইবাদত করে)। ৮৭/১৪, ১৫
তাকাও মানবীয় প্রকৃতি ও সত্তার দিকে (মন ও প্রবৃত্তির দিকে), যাকে প্রয়োজনীয় সবকিছু দিয়ে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। তারপর তাকে ভালো ও মন্দ কাজের (পাপ-পুণ্যের) সমস্ত জ্ঞান দান করা হয়েছে। অতএব যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করেছে সে-ই সফল। আর যে নিজেকে কলুষিত করেছে সে-ই ব্যর্থ। ৯৮:৭-১০
পূণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর উপর সর্বশক্তিমান। সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন- কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ। – সুরা মুলক, আয়াত ২
সৃষ্টির বিশেষ ও সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে
মহাকাশ ও পৃথিবী এবং এর মধ্যবর্তী কোনোকিছুই আমি খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করি নি। অবশ্যই আমি এই দুইয়ের কোনোকিছুই অনর্থক সৃষ্টি করি নি। কিন্তু ওদের অধিকাংশই তা বোঝে না! – সুরা দোখান, ৪৪:৩৮-৩৯
যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে, এ কিতাব দিয়ে তিনি তাদের পরিত্রাণের শান্তির পথে পরিচালিত করবেন, অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যাবেন, পরিচালিত করবেন সাফল্যের সরল পথে।
সুরা মায়েদা ৫:১৬
ইয়াহদি বিহিল্লাহু মানিত্তাবা রিদওয়ানাহু সুবুলাল সালামি, ওয়া ইউখরিজুহুম মিনাল জুলুমাতি ইলান নুরি বিইজনিহি; ওয়া ইয়াহদিহিম ইলা সিরাতিন মুসতাকিমিন।