বিশ্বাসীর মানদন্ড কি?

যারা বিশ্বাসী, তারা তাদের পালনকর্তার নিকট থেকে আগত সত্যের অনুসরণ করে। ৪৭:৩

(more to be added)

সকল প্রশ্নের উত্তর

আমি এই কিতাব তোমার উপর নাযিল করেছি, যাতে করে যারা মতভেদ করছে, তাদের সকল প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর তুমি দিতে পারো। আর বিশ্বাসীদের জন্য এই কিতাব হচ্ছে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা ও রহমত। - সুরা আন-নহল, ১৬:৬৪

এই সাইটটির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কি?

কুরআন যা মানুষের স্রষ্টা ও মালিকের তরফ থেকে সেই সার্বজনীন গ্রন্থ যা মানুষকে সত্য ও সুন্দর পথের অভিযাত্রী হওয়ার আহবান জানায়, আহবান জানায় সেই জীবন ব্যবস্থার দিকে যার সর্বাঙ্গীন প্রয়োগে মানুষ হয়ে উঠবে এই ধরায় স্রষ্টার অপরূপ রূপের প্রতিনিধি। সেই কুরআনকে যেন মানুষ ভুলে যায়, মানুষ যেন সেই দেখানো পথের বদলে অন্য হাজারটা পথ ও মতের ভুলভুলাইয়া গোলকধাঁধায় পথ হারিয়ে ফেলে, সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বানোয়াট ও মানুষের তৈরী মতবাদকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে যেমনটা হয়েছে সবযুগে স্রষ্টা প্রেরিত মহাপুরুষদের অব্যাহতি সময়গুলোতে।

মিথ্যা, বানোয়াট ও জাল বিভিন্ন মতবাদের আবর্জনা এতটা প্রকট যে স্রষ্টার প্রেরিত মহানবাণী চরম অবহেলায় আর সেই অবহেলাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য মগজ ধোলাই করা হয়েছে যে কুরআন বোঝা যাবে না, অর্থ বোঝার দরকার নেই, কুরআন সবাই বুঝবে না, ধর্মের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট লাগবে ইত্যাদির ফলে মানুষ আজ পথহারা এবং স্রষ্টার বাণী থেকে বহুদূরে।

এই সাইটটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সেটাই প্রমান করা যে মানবজাতির সার্বজনীন এই গ্রন্থে মানুষের জীবনের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে। কুরআন নাজিল হয়েছে চিন্তাশীলদের চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করতে। চিন্তাশীলদের জন্য সব সমস্যার সমাধান মহান স্রস্টা কিতাবে ও মানুষের হিকমতে প্রদান করে রেখেছেন। প্রয়োজন সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে এর প্রয়োগ করার সদিচ্ছা। আমাদের আশা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবন ও সামষ্টিক সমাজের জীবনের সব প্রশ্নের মীমাংশায় কোরআনে ফিরে যেতে আমাদের উদ্বুদ্ধ করবে। মহান স্রষ্টা আমাদের সহায় হোন! নিশ্চই তিনি বিশ্বাসীদের সাহায্যকারী, অভিভাবক ও পরম বন্ধু।

মন্তব্য করুন জবাব বাতিল